হাওরে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে চারটি বক শিকার করে গ্রামের রাস্তা ধরে ফিরছিলেন এক শিকারি। ওই রাস্তায় তখন গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। খাঁচাবন্দী পাখিসহ শিকারিকে দেখে ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি থামান। তবে ইউএনওকে দেখে ওই ব্যক্তি চারটি বক, খাঁচা ও ফাঁদ ফেলে দৌড় দেন। পরে এসব বক উদ্ধার করে ডৌবাড়ি হাওরে অবমুক্ত করা হয়।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় এ ঘটনা ঘটেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের হাতিরপাড়া গ্রামে। এদিকে চারটি বক উদ্ধারের পর পাখিশিকারিদের বিরুদ্ধে ইউএনও তাহমিলুর রহমান ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্ট দেখে গতকাল বিকেলে এক ব্যক্তি উপজেলার লাফনাউট বাজারে পাখি বিক্রির বিষয়ে ইউএনওকে খবর দেন। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ওই বাজার থেকে এক শিকারিকে আটক করার পাশাপাশি ২৫টি পাখি
আটক ব্যক্তির নাম আবদুর নূর (৫০)। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার আবদুল মহল গ্রামের বাসিন্দা। অভিযানের সময় আবদুর নূরের কাছ থেকে ৫টি বক ও ২০টি বাবু বাদাম পাখি উদ্ধার করা হয়।
ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, গতকাল সকালে তিনি সিলেট জেলা শহরে একটি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে পাখিশিকারিকে দেখে তিনি গাড়ি থামান। তবে শিকারি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাঁকে আটক করতে পারেননি। পরে তিনি ফেসবুকে পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি পাখি শিকার ও বিক্রির বিষয়ে তাঁকে তথ্য দেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অনুরোধ করেন। ওই দিন বিকেলেই স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁকে উপজেলার লাফনাউট বাজারে পাখি বিক্রির খবর দেন।
গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন হাওরে প্রচুরসংখ্যক দেশি পাখি আছে। বিভিন্ন সময়ে শিকারিরা এসব পাখি শিকারে অপতৎপরতা চালায়। জাল কিংবা ফাঁদ পেতে দেশি পাখি শিকার চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব অপতৎপরতা বন্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।